বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১১

কাঁচা হৃদয়

চারদিকে যত কাঁচা হৃদয়
নিষ্চুপে কাঁদে একা একা
বেঁধেছে বুকে সর্বনাশি এ কোন বাসা
রক্তঝরা মনে অসীম নিষ্পাপ প্রনয়
সবাই বলে এর নাম নাকি ভালোবাসা।

মূল্যহীন দেখো ব্যথা ,রাখেনি কেও কথা

কেন কেন বাঁধলিরে তুই বুকে এই বাসা?
আসলেই তুই বোকা, অনেক বেশি কাঁচা
তাইতো খেলা চলে তোকে ঘিরে
চূর্ণ তোর যত নিষ্পাপ সপ্ন-আশা।

হৃদয় তুই যদি হতিস একটু খানি পাকা

আজ হাসতিরে তুই ওদের মত
হতোনা তোর হৃদয় মাঝে কান্না বুকফাটা
সময় আছে এখনো শিখেনে রে তুই অবুঝ হৃদয়
আধুনিক মোহে ভরা সেকুলার ভালোবাসা।

জানি পারবিনা তুই

তোর ক্ষমতা নাই অমানুষ হয়ে বেঁচে থাকা
কি আর করা মরে যা তুই
কি লাভ এভাবে অবুঝ বেঁচে থাকা
তুই নিষ্পাপ আর বোকা এই ইহলোকে
আনেক বেশি হৃদয়টা তোর কাঁচা।

হে তরুন আমি দেশ বলছি

হে টগবগে তরুন ঘুমিয়ে কেন তুমি
তোমার আশায় পথ চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত আমি
দেখ আমি আজ অপ-চারে জীর্ণ
কবে তুমি আসবে ফিরে
অপরাজেয় মুষ্ঠিতে করবে সত্য অপাবরণ
তোমার নিখুঁত হতে কর আমায় নবীকরণ।

আময় কি ভুলে গেছ তুমি?

তুমি এসেছিলে বায়ান্নে তুমি এসেছিলে একাত্তরে
এবার চিনেছোকি তুমি?
আমি তোমার দেশ তোমার জন্মভূমি।

দেখ আজ আমার বুকে শুন্য বালুচর

কালো অশ্রু সিক্ত বুড়িগঙ্গা আর শিতলক্ষার জল
পাপীরা গলাচেপে ধরেছে যেন তারই ক্রন্দন।

আজ বিরান আমার বনভূমি

বিরান কৃষকের ঘর, শুন্য ফসলি জমি
আজো আমার শরীর ভিজে রক্তে বেওয়ারিসের লাশে
আজো আমার উপর পাপীরা বুক ফুলিয়ে হাসে।

আজ দেখেনা কেঊ আভাবি মায়ের কান্না

আমার রক্ত চুষে পাপীরা জমায় হিড়া-চুনি-পান্না
আমার বীর সেনাদের হত্যা করে
উৎসব করে পরের কালচার নাচে গানে
হে তরুন ঘুমাবে কতকাল আর জেগে।

আজ লুন্ঠিত তারা যারা দেশের কথা বলে

পাপীরা আজ বসেছে জেকে
সময় এসেছে হটাও ওদের ঝেড়ে
আমায় গড়াও ক্লেদ মুক্ত এক দেশ
যেখানে থাকবেনা শুখের কোন শেষ...।

ভালোবাসা

কাজল কালো চোখটা যখন
আমার চোখে পড়ে
ইস মনের মাঝে তমুল বেগে তানপুরাটা বাজে
হাড়িয়ে যাই দেখে দেখে খঞ্জনগঞ্জন আঁখি
বলি, এমন করে বিধালে প্রীতসা
এখন কেমন করে বাঁচি।

কল্পনাতে বুনতে থাকি মিষ্ট মধুর স্বপ্ন

অপেক্ষা তাই প্রতি প্রহর ঘর সাজাবার জন্য
ভা্লোবাসার অবুঝ টানে উতালা ইন্দ্রিয়
রুহানি এই কাছে টানা
বেঁচে থাকুক যেন অমিত পবিত্র।

প্রার্থনা তাই খোদার কাছে তৃপ্ত ভেজা চোখে

ভালোবাসার সৌভদ্রতা জাগুক সবার মাঝে।

কপাল পোড়া

জোছনা রাতে ভরা চাঁদ দেখবো বলে
আকাশের পানে আমি চেয়ে
হঠাৎ একি!
এক পশলা বৃষ্টি এসে গেল সব ভিজিয়ে
হা্রিয়ে গেল জোছনা আলো, নিকশ কালো মেঘের আড়ালে।

দক্ষিণা হাওয়ায় পড়ন্ত বিকেলে

হাওয়ার মাঝে দুলবো বলে আমি তেপান্তরে
হঠাৎ একি !!
ধুসর প্রমত্ত ঝড় ফুসে এলো তেরিয়ে
মিলেয়ে গেল চাওয়া সব, ভয়ে আমি এক কোনে লুকিয়ে।

নদীর বুকে ছলাত ছলাত ঢেউ দেখে

ঢেউ এর তালে বাইবো ডিঙ্গি নৌকাতে
হঠাৎ একি !!!
বিশাল উঁচু ঢেউ এসে গেলো ডিঙ্গি উল্টিয়ে
ডুবিয়ে দিল সব কিছু, হারিয়ে গেলাম জলের অনেক গভিরে ।

জোছনা স্নান আর হাওয়ায় দোলা

নদীর বুকে ঢেউয়ের তালে জলে নাচা
সব কিছুকে আপন করা
তাই বলে কি আমি কপাল পোড়া?
মনের ভিতর একটা বড় মিনতি
নূন্যতা কি বলো আমায়, জবাব চাই নিয়তি?

মুক্তিযুদ্ধ

দেখিনি আমি একাত্তোরের মুক্তিযুদ্ধ
দেখিনি আমি রক্তগঙ্গা সেই ভয়াল মার্চের
দেখিনি আমি হাহাকার
সেই ছেলে হারা মা স্বামী হারা বধুর ব্যথিত চিৎকার
দেখিনি আমি বীর সেনানীর
পাড়ি দেয়া কষ্টসহিষ্ণু সেই পথ
দেখিছি শুধু পেয়েছি শুধু এই মুক্ত বাংলার সব।

হ্যা আমি নতুন আমি আগামী

তবু ব্যথা ভরা মন কেন জানি
সেই ত্যাগের প্রতিদান দিতে পারবো কি আমি?।

আজ ঘৃনা ভরা চোখে দেখি

ব্যবসায় রত মুক্তিযুদ্ধকে করে পুঁজি
তাদের নিয়ে রাজনীতি মাখামাখি।

উর্ধে তারা উর্ধে সব মতভেদে

কেন তোমরা ঘোলাটে কর নিজের নামটি চেপে
যারা বিলিয়েছে অকাতরে প্রাণ
করছো কেন তাদের মহিমাকে ম্লান
আকুতি আর মিনতি আমার
আল্লাহ যেন তাদের ত্যাগের দেন প্রতিদান।

তুমি

আমার মনের নায়িকা তুমি, প্রিয়সি তুমি
প্রেমিকা তুমি, অভিমানি চপলা তুমি
জোৎস্না রাতের পরি আবার আমার জীবনের প্রথমা তুমি
ভালোবাসার কেন্দ্র তুমি, ইহকাল আর পরকালের সঙ্গী তুমি
জেনেও জানো না কেন তুমি
সপেছি মনোপ্রান কেবল তোমায় আমি।

তাই আকুতি আর মিনতি আমার

তোমার সপ্নে বিভোর
হৃদয়ের চিৎকার আমার
তৃসিত চোখের আবেদন আমার
রেখোনা আর দুরে, নওনা আপন করে।

আর সেজোনা অবুঝ হয়েওনা আর লাজুক

আজ দুনিয়া দেখুক
আজ দুজনার জীবন-জাপন ভালোবাসার রঙ্গের ছোয়ায়
আনেক শুখে ঝাল-টক-মিষ্টি সাজুক।

করো না আর দেরি সময় যায় গো চলি

মিস করছি তোমায়
প্রতি নিঃশ্বাস আর পলকে পলকে আমি
ইস বুঝোনা কেন আর দেরি সয় না যেন
ভালোবাস... ভালোবাসি... ভালোবাসি...
শুধু তোমায়, কেবল এটাই আমি জানি 
 

তোমায় নিয়ে ভালো লাগার ছড়া

ভালো লাগে অনেক দুষ্টোমিতে
অযথা ঝগরা আর পাগলামিতে
ভালো লাগে চুপটি করে
তুমি যখন তাকাও আমার দিকে।

ভালো লাগে নিড়বতায় তোমায় দেখে

খুব ইনোসেণ্ট লাজুক চোখে
ইচ্ছে করে অনেক বলি
না বলা সব হৃদয় বুলি
কতরাত ঘুমাইনি জানো
ভেবেছি আর সপ্ন একেছি আরো।

ভালো লাগে ভেবে ভেবে

এতো সরল কেমন করে
থাকো তুমি অবুঝ মনে?

আরো কতো ভালো লাগা

বলা জাবেনা ছন্দে আঁকা
কেবল খালি ভালো লাগেনা
আমাকে অনেক বেশি না বুঝাটা।

অভিমান

বেজায় হাসি পায়
নিজের উপর নিজের রাগটা বেড়ে যায়
আমি কেন বলবো তোমায় আমার মনের কথা
সেই কথাতে তোমার তো নাই
ইকটু খানি চাওয়া।

জানি তুমি অনেক ভালো

তাই তো আমার মনের আলো
কিন্তু সেই আলোতে যদি তুমি না চাও
ইকটুখানি ভালো।

কেবল নিজার উপর নিজের রাগটা বেড়ে যায়

পাই না কনো উপায়
তাই আমি শাস্তি দিব
আমার আমিকে আমিই দিব
বেটা তুই গাধারাম
না বুঝে বাসবি কেন এত ভালো।

জানি না আমি যোগ্য কিনা

অংক কষে যায় কি চিনা
ভালোবাসার রুপ
তাই নিজেই নেজেকে শাস্তি দিব
করবো কেনো এমন ভুল
মায়ার জালে পরেছি বলে
আজ বুকের মাঝে বিধল ভারি শূল।

কান্না চেপে ধেকুর তুলে

শাস্তি নিব নিড়বেতে
বুঝবেনা কেও একবিন্দু চুল।

হা হা হা আজ বেজায় হাসি পায়

নিজের পায়ে নিজেই কেমন
কুড়াল ঠুকে যাই।

হুতুম পেঁচা

হাটছি একা ভাবছি একা
আমি যেন রাত জাগা
এক হুতুম পেঁচা।

চারদিকে অনেক আলো

শোরগোলেতে বেজায় ভালো
তবুও কেন আমি একা?
আসলে নই আমি একা
দৃষ্টি পেতে আছেন খোদা ।

আসলে মনটা আমার

অবুজ আর বরই বোকা
ভুলেই যাই মনটা কবে
রয়ে গেছে তোমার কাছে
তাই আমি রাত জাগা
একলা নিড়ব
এক হুতুম পেঁচা
 



দেখবোনা, শুনবোনা, বুঝবোনা,মানবোনা

আর দেখবোনা আর শুনবোনা আর বুঝবোনা
সব খনেতে নিয়ম ভাঙ্গা আর মানবোনা
অনেক ধেখছি অনেক শুনেছি অনেক বুঝেছি
নিড়ব থকে ঘরের কোনে অনেক সয়েছি।

চার দিকে আজ সপ্ন দেখার জালবুনা

সেই জালেতে পরছি মোরা আনমনা
জাগো জাগো জাগো, বাঙ্গালী তুমি জাগো
আর কতো কাল ঘুমিয়ে তুমি থাকো?

জোর-জুলুম আর দখলে কেনো ঠাঁসা?

ইতিহাসকেও ছারিনি দিতে সর্বগ্রাসি থাবা
জন্ম থেকে আনেক দুর অনেক পথ হেটে এসেছি
সামনে নয় উল্টো পথে বরং বেসিই হেটেছি।

কেন কেবল নিজের কথাই অনেক বেসি ভাবো?

কেন না তুমি দেশকে এবার সবুজ রঙ্গে আঁকো?
অনিয়মের যাতার কলকে গুরিয়ে তুমি ভাঙ্গো।
যেনে রেখো একদিন হিসেব দিবে প্রতিটি কণা
যতই ছারো বুলি আর তুলো নির্যাতনের ফণা।

মুখোস

মুখোস... মুখোস... মুখোস...
আড়ালে দেখ আরেক মুখোস
মুখোসে মুখোসে ঠাঁসা
আসল-নকল সাদা-কালো
হরেক রজ্ঞে আঁকা।

আসল মুখ হাড়িয়ে যায়

মুখোসে বাঁধে বাসা
মুখোস গুলো ফাদে ফেলে
আজ শুন্য রিক্ত আশা।

আসো সবাই মুখোস খুলি

আসল রুপ তুলে ধরি
সমাজের কীট গুলাকে
দুমরে মুচড়ে ধ্বংস করি।

অনাচার আর মিথ্যচারের

অপপ্রচার আর পাপাচারের
সমূলেতে উপরে ফেলি।

দেখ আজ তারাই ভোজে

মুখোসের আস্তরনে
সমাজ সেবার বুলি উরায়
পেছনেতে ময়লা ছড়ায়।

বলে আজ সবাই সুখি

আমদের রাজ্যে আজি
আসলেই ওরাই সুখি
গরিবের রক্ত চুষি।

আজ ঘৃনায় বুকটা জলে উঠে, বিবেক করে চিৎকার

আজ ঘৃনায় বুকটা জলে উঠে, বিবেক করে চিৎকার
আমরা কেন সয়ে যাই সব অন্যায় চাটুকার
আজ তর্ক নয় , নয় কোন বিরোধি আর সরকারি
আজ নিদ্রিত বিবেক জাগানো অনেক বেশি দরকারি।

কেন আজ আমরা দেব ভারতকে সব ছার

বিনিময়ে কি পেয়েছি মোরা ভেবে দেখ বাঙ্গালী আজ
আমরা দিয়েছি মোদের বেরুবাড়ী পুরো গ্রাম
বিনিময়ে দেয়নি ওরা তিন বিঘা করিডোর
আঙ্গোরপোতার ও দহগ্রাম।

তবু মোরা দিয়ে যাই ট্রানজিট ওদের সুবিধায়

আজ ধিক ধিক শত ধিক যারা ওদের চাটুকার
দেখ দেখ আজ আকাশে বাতাসে শত ফেলনির আহাকার
আজ আভিশাপ পরুক ওদের উপর যারা ভারতের চাটুকার।

আমদের ঘরে চলে ভারতের সব অপসংস্কৃতির চ্যানেল

দেখ ওদের দেশে ঢুকতে দেয়না আমাদের কোন চ্যানেল
আমদের মুদি আমাদের শপিং মলে ভারতীয় পণ্যের জয়কার
দেখ বিনিময়ে দেয়না মোদের পণ্য ঢুকার অধিকার
দেয় কে ওদের এতো সুবিধা এত সব কোন বেয়াদব চাটুকার
চলো টুটী ধরে নামাই ওদের করে প্রচন্ড চিৎকার
আজ শত কোটি টাকা ধার নেই যার নেই কোন দরকার।






চুপ একবারে চুপ

চুপ একবারে চুপ যদি করিস চিৎকার
গারদে পুরে করে দিব কদাকার
চুপ একেবারে চুপ করিস না চিৎকার।

গনতন্ত্র বুঝিয়ে দিব তোকে

বুঝিস না কেন ক্ষমতা আমার হাতে
নিড়বে নিভৃতে সয়ে যা সব পাপ
দমনে পিড়নে আমি আজ মহারাজ
আমার চেতনা আমার কেবলি রাজ।

চেতনা আমার লোক দেখান আশা

অতীত যে আমার গৌ্ড়বেতে ঠাসা
বর্তমানে তারচেও বেসি অপরাধের বাসা।

বেচে দেব আমি দেশকে পরের হাতে

তাতে তোর কেন এত বিবেকে বাধে?
চুপ এক বারে চুপ, আমার রাজ্য আজ।

গনতন্ত্র সেতো আমিই জন্মদাতা

বিজয় সেতো আমার ছন্দে আঁকা
আমিই মালিক আমিই সর্বসেরা
তুই কে আমাকে দিবি বাধা?

দেশকে আমি থুরিই কেয়ার করি

জনগন সেতো আমিই অভাবে মারি।
বাকসাল আমি আমিই সার্বসেরা
চুপ একবারে চুপ অযথাই পরবি মারা।


কেমন মুসলমান

দেখো আমারা কেমন মুসলমান
কাজে সাজে নেই কোন লেস তার
আজ বহু ঘরে হয়না দেখ কোরান পাঠ
হয়না কোন ইসলামী সংলাপ।

সালাত যেন ট্রেডিশন আজ কেবল জুমা পড়া

রোজ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ
ভুলেই যেন গেছি মোরা।

আধুনিকতার নামে বিলেয়েছি সব

ঈমান গেছে ছন্যছারা
করছি আজ অহরহ
কবর ,অগ্নি আর মূর্তি পূজা।

দেখো রিসার্চ করে ইসলামে আছে সব

সর্বাধুনিক জীবন বিধান
সাজিয়ে বুঝেয়ে বেধে দিয়েছেন আমাদের রব।

আছেন কিছু জ্ঞানপাপি

নাস্তিক বুদ্ধি বিক্রিকারি
তাদের ফেন হয়ে মোরা
আজ অনেক বিপধগামী।

দেখ আজ বিবেক খুলে

তাগুদের পথ ছেরে
আমরা কতো ভাগ্যবান
মুসলিম হতে পেরে।

ইসলাম কেবল ধর্মই নয়

পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান
জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে এর আহবান।

যারা বলে ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত

ওরাই হলো মুনাফেক মস্তিস্ক বিকৃত
ইসলাম আছে সামাজে, পারিবরে
ইসলামে আছে রাস্ট্রে, জ্ঞানে বিজ্ঞানে।

তাই চলো চালু করি আজ

এমন অভ্যাস এমন সংস্কৃতি
যেখানে থাকবে মনের ভিতর
মহান আল্লাহ তায়ালার ভীতি

 

ভীত আমি

সবকিছু জানি কেমন লাগে
চলছি কেমন খিচুরি ঢং এ
কখন বা পাশ্চাত্তে কখন আবার বাঙ্গালী তে
কখন মুসলিম হয়ে নাস্তিকতার ছন্দে তালে
বাঙ্গালী হবার দোহাই দিয়ে
মিশে যাই পূজা আর অন্য কালচারেতে
কেওবা শুধু টাকার পিছু
কেওবা আবার নামের পিছু
আমি তাই ভাবছি বসে আসলে সব যাচ্ছি তলে
আজ সবাই ভুলেই গেছে মুসলিম আমি সবার আগে।

মন যেখানে যায় যে টেনে

বুঝে হোক না বুঝে হোক
স্রোতের টানে ভাসছি দুলে
আজ তাই কাঁন্না আসে মনের কোনে অজানা ভয়ে
না জানি হায় কেমন করে
আখেরাতের পূজি জমাই এই আয়ুতে
পার করছি সময় সব হেলায় ফেলায় অন্ধকারে।



ছোট বেলা

কেন জানি মাঝে মাঝে
স্মৃতির পানে মনটা পিছু টানে
ইস কতই না মজায় ছিলাম ছোট্ট বয়স টাতে।

অহেতুক ছিলনা কোন ভাবনা

হেসে খেলে যেত বেলা
সবার মাঝে মধ্যমণী আল্লাদে আটখানা।

বাবার কোলে মায়ের কোলে দুলতাম ছোট্ট আমি

সাথে আর বোনাস আদর ছিল সবার জানি
প্রতিদিনই মনে হত একটা নতুন কিছু শিখি।

খুজে পেতাম মজা বিকেল বেলা ছাদে

ঘুরি ওরার মাঝে
ছোট্ট ফরিং কিংবা যখন ছোট্ট চড়ই
ফুর ফুরিয়ে নাচে,
আরো মজা পেতাম যখন
মা ছুটত পিছু খবার নিয়ে হাতে,
আর মজা লাগত তখন
ইস্কুলেতে শেষ প্রিয়ডে কখন ছুটির ঘণ্টা বাজে।

আহা কি তৃপ্ত সময় গুল

এখন বুঝি ছোট্ট বেলাই
আসল মজা ছিল
এখন আমি বড় নেইক কোন কষ্ট
তবু ভাবি ছোট্ট বেলাই জীবনের স্রেষ্ট

আমার ছোট বেলা আমি ও আমার ছোট ভাই সাব্বির ও আর নেই


বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১

আসলো নতুন বছর

কালের পালকি 
চরে হৃদয় মন জুরে
খুশির মাদল সূরে
অতীতের কষ্ট ভুলে
আসলো নতুন বছর। 

কিন্তু ওদের নেইকো নতুন বছর
নেই যে কোন শুখের খবর
অনাহারে সকল দিবস অনাদারে
প্রতিদিনের যুদ্ধ করে
একবেলার খাবার জুটে
রাখি কি তাদের খবর?

বলছি আমি তাদের কথা
পথ শিশু আছে যারা
আমাদের মনে কেন
দেয়না ইকটু সাড়া?
আমরা চাইলে অনেক পারি
ইকটু ইকটু সাহস করে
চলো না দাড়াই ওদের পাশে। 

স্মৃতির সেই ক্ষন

সবাই বলে ভুলে যেতে
আমি বলি ভুলবো কিসে?

বুকের মাঝে তুমুল বাজে

স্মৃতির সেই ক্ষন

ভুলবোনা আমি ভুলবোনা

যানি আমি পারবনা

ভুলতে হলে মুছতে হলে
দেহের খাঁচা ছারতে হবে
নিকস কালো অজানাতে
বিলিয়ে দিয়ে মন 

তবুও কি পারবো শেষে

ভুলতে স্মৃতির সেই ক্ষন?

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১১

আমার প্রথম পোস্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

ঘুরে ফিরেছি দিক বেদিক, অনেক ব্লগে লিখেছি, কমেন্ট করেছি। নিজের একটা ব্লগ বাড়ির স্বপ্ন দেখতাম, অবশেষে পূরণ হলো। আমার ব্লগ বাড়ির ঠিকানা যে  প্রিয় ভাই , প্রিয় বন্ধুর হাত ধরে  খুজে পেলাম তিনি আর কেও নন আমার প্রিয় তন্ময় তানিম ভাই যাকে অনেকে নীলকন্ঠ বলেও চিনেন। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আমার ভৌগোলিক দিক থেকে অনেক দুরে কিন্তু মনের দিক থেকে অনেক কাছের এক জন মানুষ। আমার প্রথম পোষ্ট তাকেই ঘিরে। তাকে খুজে পাবেনঃ নীলকন্ঠ

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | coupon codes